মহাজোট সরকারে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের মহা...উৎসব ......
অনির্বাচিত তত্তাবধায়ক সরকারের পক্ষে প্রথম আন্দোলন করে কারা!!!..আওয়ামীলীগ আর জামায়াতে ইসলামি...
২০০৬ সালের কথাই মনে করুন । কে এম হাসানকে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান এবং এম এ আজিজকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান রাখলে নির্বাচনে যাবে না বলে গোঁ ধরে বসলো আওয়ামীলীগ ।
...
বিএনপি বার বার বললো, তোমাদের দাবি অগ্রহণযোগ্য ।
আওয়ামী লীগ জবাবে একের পর এক হরতাল-অবরোধ দিতে থাকলো ।
আর এখন ভূতের মুখেই রাম নাম অবস্থা...
সারাদেশ আজ যখন চাচ্ছে তত্তাবধায়ক সরকার তখনই এই গোঁয়ার-গোবিন্দরা টালবাহানা করছে...সংলাপের মুলা ঝুলিয়ে রাখছে...
আর অনির্বাচিত অনির্বাচিত বলে গলা ফাটাচ্ছে...
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকার আর চাই না । স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন...দপ্তরবিহীন মন্ত্রীর মুখেও একই কথা.....সবার মুখেই ...চাই না চাই না অনির্বাচিত সরকার আর চাই না...
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার চলছে মূলত অনির্বাচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে । দেখা যাচ্ছে- বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ৬৫ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী রয়েছেন যাদের মধ্যে তিনজনই অনির্বাচিত ।
যাদের হাতে রয়েছে আইন ও শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ।
মন্ত্রী মর্যাদায় সাত উপদেষ্টা ( যারাও নির্বাচিত নয় )মূলত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছেন ।
এছাড়াও ডিসিসির মত গুরুত্বপুর্ন প্রশাসনও চলছে ২ অনির্বাচিত ব্যাক্তি দ্বারা...
সর্বশেষ যে ব্যক্তি দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্ষমতায় আরোহণ করেছেন সেই স্পিকার শিরিন শারমিনও অনির্বাচিত ।
যদিও অনেক নির্বাচিত প্রবীণ সংসদ সদস্যও বর্তমান ছিলেন ।
জাতীয় সংসদের স্পিকার পদটি রাষ্ট্রপতির পর দেশের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পদ । সংসদে এমনকি প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে মাননীয় স্পিকার সম্বোধন করে দাঁড়িয়ে কথা বলেন ।
Hossain Mahmud